তার পর তারে আমি দেখিলাম

তার পর তারে আমি দেখিলাম স্ফটিকের গভীর মিনারে
কড়িকঙ্কালের এক পাহাড়ের পিছে
সেখানে তাহার চুমো বিম্বের মতন
হ্রদের ভিতরে নীল মাছদের শিয়রে রয়েছে

স্ফটিকের মতো সেই অত্যন্ত মিনার
(গভীর রাত্রির হাতে)

রাত্রির কবলে প’ড়ে হয়ে গেছে নিকষ পাথর
চিতলের কণ্ঠে কোনও শব্দ নাই সেই হ্রদে
যদিও সর্বদা মনে হয় তার পর
কেউ যেন কথা ক’বে- গল্পেরা সুসাময়িক
তবুও সীমানা থেকে উঠে এসে অধীর বাতাস
লঙ্ঘনের মতো কোনও আশ্চর্য, প্রবীর
দ্রব্য চায়- উঁচু-উঁচু বৃক্ষদের দিকে চেয়ে
হয়ে যায় কড়িবর্গার মতো স্থির।

এইখানে আমাদের টেবিলের সাদা প্যারাফিন
অনেক হাসির শব্দ- প্রভূত অশ্রু
বালখিল্য শিশুদের মতন উড্ডীন
সূর্য থেকে বড়ো শুক্র তারকায়
শুক্র তারকার থেকে ফের সূর্যের ভিতরে
স্ফটিক প্রাসাদ আর হ্রদ ঘিরে যে-তিমির
বিদেশি ফলের মতো বিছানার ‘পরে
কেউ এসে রেখে দিতে চায় চুপে
ব্রাহ্মীলিপি, রাষ্ট্রভাষা, গ্যাসের আলোক
একে-একে দেখালাম তারে আমি-
আমি এই পৃথিবীর মূর্খ বালক।