তবে কি কেবলই ভিড়

তবে কি কেবলই ভিড় জমা হবে এইখানে- এখানেই- সমুদ্রের পারে
এখানে বন্দর নেই ব’লে কোনও পোত নেই- এইখানে একটিও সমুদ্ৰশকুন
পাহাড়ের গুহা থেকে উবু হয়ে লাফ মেরে- হামাগুড়ি দিয়ে হাহাকারে
জলের সাটিনে গিয়ে ঝাঁপায় না- এই স্তব্ধতায় সব লুচি, আলু, নুন
অনেক আপেল, ম্লান কামরাঙা, সাদা প্লেট, সিঙারার ফল
সবুজ তার্পুলিন, বিড়াল ও বন্ধুদের পিছে রেখে-
এসেছিল ভোরবেলা নির্মলেন্দু রায়
খাতা ও কলম নিয়ে- কোটের পকেটে ছিল উজ্জ্বল পিস্তল
তবুও ছিল না গুলি- ভুলে গেছে- বিস্মৃতির গোলকধাঁধায়
নিজেকে সে এনেছিল শুধু আজ এক বার পরিজ-উদরপিণ্ডের
এক বার কৃমিকীট অ্যামিবার শেষ সুতো মনে ক’রে- মরণ-কামড়ে নীরবতা চেয়েছিল;-
আকাশরেখার থেকে তবুও শত্রুরা তার সাড়ে-তিন হাত শরীরের
অমরতা টের পেল- প্রথমেই সিন্ধু এল হাপুস উৎসাহে তার লপেটার ‘পরে
মনে হয় কোনও এক নারী যেন ডুবে যায় দূর মধ্যসমুদ্রের জলে
বালিকারা করতালি দিয়ে হাসে ঝিকমিক অগ্নির সৈকতে
পাঁচটি যুবক গোল কামুফ্লাঝের শেষ মানে নিয়ে কাটাকাটি করে কোলাহলে
একটি কুকুর হেসে- কেঁদে- ক্রমে লেজ দিয়ে মুখ ঢেকে রাখে কোনও-মতে
বিশ্রুত প্রেমিক এক তিন জন গণিকার চকিত মুখের দিকে চেয়ে
আপনার মনিব্যাগে ধরা প’ড়ে চ’লে গেল শীর্ণ ছাগলের মতো শিঙে
কতগুলো চীনেম্যান, মাড়োয়ারি নিতান্ত নীরব এক সমুদ্রকে সন্নিকটে পেয়ে
সমস্ত সৈকতটাকে গুটায়ে ঝুলায়ে দিল বাজারের বিখ্যাত রেলিঙে।