আমি কে


এ অনন্ত কাল-সিন্ধু করি বিলোড়ন,
ত্রিমুখী গভীর স্রোতে,
সৃজন-মরণ-পথে
শুন্য ভিন্ন না পাইনু অন্য নিদর্শন!


বস্তুর অস্তিত্ব বোধ ভ্রান্তিমাত্র সার!
দর্শন, শ্রবণ, স্পর্শ,
এ তিন বিহনে দৃশ্য
অনস্তিত্ব, শূন্যময় ঘোর অন্ধকার!


আমি কে?- আছে কি তবে অস্তিত্ব আমার?
জীবন, আকৃতি, রব,
শৈত্য-ঔষ্ণ অনুভব
শুধু কল্পনার খেলা; ছলনা ধাঁধার!


কে তুমি? কে আমি বিভো? দেও সত্যজ্ঞান!
আমি কি তোমারে ছাড়া?
তুমি কি ব্ৰহ্মাণ্ড ভরা?
কোথা তবে তুমি আমি?- কত ব্যবধান?


ছিলনা কিছুই পুনঃ থাকিবে না হায়!
কোথা হ’তে এল তবে,
পুনঃ ফিরে কোথা যাবে?
তুমি ছিলে কোথা? পুনঃ থাকিবে কোথায়?


কে চালায় মোরে, হায় কৰ্ত্তা কোন্‌ জন?
জানিনা এ কৰ্ম্ম কার,
ফল কে ভুগিবে তার,
আমি তো কিছুই নহি, শুধু যে করণ!


কে সৃজিল পাপ পুণ্য এ শূন্যের গায়!
কৰ্ম্ম ক্রিয়া করণাদি,
কার সৃষ্টি, কে সে বিধি?
অনস্তিত্ব স্থিতি কোথা?- কি রহস্য হায়!


তব দয়াবিনে নাথ এ ঘোর আঁধারে,
কে দিবে দেখায়ে পথ,
কে পুরাবে মনোরথ
পড়েছি বিষম ঘোর সমস্যার ফেরে!