১
পল্লবের তলে অই কে লুকায়ে স্বজনি
উঠিল ডাকিয়া সুধা স্বননে!
বহিল পিযুষ ধারা মাইয়া অবনী
অই সখি, স্তব্ধ কুঞ্জকাননে!
১
সায়াহ্ন, শীতল বায়ু ঝুরু ঝুরু বহিয়া
চুম্বিছে কুসুম কত সাদরে!
তাহে সখি, অই পাখী সুধারাশি ঢালিয়া
পাগল করিয়া দিল আমারে!
৩
এমন মধুর স্বরে কে গায় ও স্বজনি,
প্রকৃতির প্রাণে সুধা ঢালিয়া!
কি ব্যথা উহার প্রাণে জাগে দিবা রজনী,
থেকে থেকে কেন উঠে কাঁদিয়া!
৪
উহার সে কণ্ঠ সুরে এ হৃদয় মোহিয়া
কি জানি কাহার স্বর ভাসিছে!
অতীতের ছায়া গুলি উঠিতেছে ভাসিয়া
শৈশবের কথা মনে পরিছে!
৫
এমনি মধুরস্বরে সে গাইত স্বজনি
আমি শুনিতাম প্রাণ ভরিয়া!
মধুর চাঁদনীময়ী মধুমাখা যামিনী
নীরবে যাইত সখি বহিয়া!
৬
দুজনে সরসী তীরে পাশাপাশি বসিয়া
হেরিতাম কত শোভা হরষে!
হাসিত মধুরে মরি কত সুখে ফুটিয়া
কুমুদ কহ্লার কত সরসে!
৭
এমনি সুখেতে সখি, কত নিশি কেটেছি
সাধের সে স্বপ্ন গেছে ভাঙ্গিয়া!
যে কথা জন্মের মত হায় সখি ভু’লেছি,
কে দিল সে কথা আজি তুলিয়া?