হে আচ্ছন্ন নগরী

আমিও যখন এসেছি নগরে একি!
তোমার শরীরে আভরণ নেই কোনো
পশুর থাবায় বিঁধে আছে চেয়ে দেখি,
নাভিমূল আর কামনার অঙ্গনও।

সবুজ শাড়িটি জীর্ণ মালার মতো
পড়ে আছে পায়ে নিটোল ঊরুর কাছে,
জীবন যেন বা হয়েছে কণ্ঠাগত
পাতা-ঝরা এক তরুণ সেগুন গাছে!

চারিদিকে কাঁপে দুঃখের হাহাকার
হৃদয় বিতানে শুকায় জীবন-লতা,
পাপ প্রাঙ্গণে বেঁধেছো কি সংসার
হাতে নিয়ে শুধু বয়সের পেলবতা?

বাতাস কাঁপছে অসুস্থ আলোড়নে
পত্রে পুষ্পে স্পর্শ লেগেছে তার,
শতধা দীর্ণ আমার লাজুক মনে
হেনেছো তোমার হতাশার তলোয়ার।

কখন আমার ইচ্ছাকে মেলে ধরি
আশার কুসুম যখন পশুর হাতে?
সুন্দরী, তুমি যত হও সুন্দরী
তোমাকে চাইনি মাতাল ঝড়ের রাতে!