জীবনময়ী


এস গো জীবনময়ী,
প্রেমের অমিয়-ধারা!
নিরখি ও মুখ তব
হইব আপন হারা!
ও মুখে প্রেমের জ্যোতিঃ
যখনি গো ফুটে উঠে!
আমাতে থাকিনে আমি
প্রাণের বাঁধন টুটে!


এস তুমি এস এস,
এস এ হৃদয় মাঝে!
আমার এ হৃদি-যন্ত্রে
তোমারি সঙ্গীত বাজে!
সুখে দুঃখে তুমি মোর
জীবন-সঙ্গিনী সখি!
বিশ্বের সৌন্দৰ্য-মাঝে
তোমারি সৌন্দর্য দেখি!


তুমি কি বাসনা ভাল,
কেন তবে আছ দূরে?
এস তবে প্রাণময়ি
এস এ হৃদয় পুরে!
দিওনা যাতনা আর
ব’ধনা বিরহ-বাণে!
একটি চুম্বন দিয়ে
জাগাও এ মৃত প্রাণে!


হৃদয়ে হৃদয় যবে
মিশে যাবে চির তরে!
মৃত সঞ্জীবনী সুধা
তখনি পড়িবে ঝরে!
তোমারি বুকেতে শুয়ে
দেখিব স্বপন ঘোর!
অতীতের কত স্মৃতি,
জাগিবে হৃদয়ে মোর!


তোমারে হৃদয়ে পেলে
সব দুঃখ ভুলে যাই!
চাইনে স্বর্গের সুখ
যদি গো তোমারে পাই!
তোমা ভিন্ন এ জগতে
কিছুই লাগেনা ভাল!
তুমি যে প্রাণের প্রাণ
আঁধার জীবনে আলো!


কতবার কাব্য নিয়ে
পড়িতে বসেছি আমি!
কেবলি দেখেছি প্রিয়ে,
তোমারি সে মুখ খানি!
চকিতে যুদেছি আঁখি
তবু ও তোমারি মুখ,
দেখেছি হৃদয় মাঝে
কাঁপিয়া উঠেছে বুক!


এক তিল না দেখিলে
হতে পাগলিনী তুমি!
আজি কোথা প্রাণময়ি?-
হৃদি যে শ্মশান ভূমি!
সে প্রেম সে ভালবাসা
এখনো জাগিছে প্রাণে
কোথা তবে প্রেমময়ি?-
আছ এবে কোন্‌ খানে?


এ মরু জীবনে মোর
আবার ফুটাও ফুল!
হৃদয়ে হৃদয় রেখে,
জাগাও প্রাণের ভূল!
প্রেমের সঙ্গীতে তব
হবে বিশ্ব ভরপুর!
প্রত্যেক শিরায় মম
বাজিবে তোমারি সুর!


এ এ হৃদয়-কুঞ্জে
আবার আসিবে মধু!
সাজায়ে ফুলের ডালা
ডাকিবে যে পিক বধু!
মধুর মলয় বায়ু
ঝুরু ঝুরু ব’য়ে যাবে!
পাপিয়া বুল্‌ বুল্‌ শ্যামা
তোমারি আরতি গাবে!

১০
এস তবে প্রাণময়ি
এস এ হৃদয় মাঝে
পাতিয়া রেখেছি হৃদি,
এস গো কুসুম-সাজে!
তোমারি সৌন্দর্য্যে ডুবে
আপনা ভুলিয়ে যাব
তোমারি তপস্যা করে
জনমে জনম পাব।

১১
সুরভি কুসুম দিয়ে
গাঁথিয়া প্রেমের মালা!
তোমারি চরণে আমি
দিব গো প্রেমের ডালা।
তুমি গো প্রাণের প্রাণ,
প্রেমের জীবন্ত ছবি!
সারাটি জীবন ভরে
তোমারে পুজিছে কবি!

১২
তুমি গো হৃদয়-নিধি
প্রেমের অমিয়-ধারা!
তোমারে না দেখে আমি
ফণী যেন মণি হারা!
এস গো হৃদয়-কুঞ্জে
এস এস ফুল-রাণি!
হৃদয়ে রেখেছি এঁকে
তোমারি সে মুখ খানি!