নববর্ষ


কি ঘোর ভীষণ দৃশ্য,
আঁধারে নিমগ্ন বিশ্ব,
অনন্ত অসীম সিন্ধু সম্মুখে পশ্চাতে!
সফেন তরঙ্গরাশি,
লুণ্ঠিয়া পড়িছে আসি,
অনন্তের পদ মূলে ত্রিমুখীর স্রোতে!
মন্থি এ তরঙ্গ গুলি
বাধা-বিঘ্ন দুরে ঠেলি,
এলে তুমি ওহে পান্থ এ নব প্রভাতে!
এক মনে- এক প্রাণে
কর কৰ্ম্ম প্রাণ পণে,
যুঝিয়া ভীষণ বলে অদৃষ্টের সাথে!


ওহে পান্থ!-
অতীতের সুখ দুঃখ ভুলে যাও তুমি,
অই যে ব্রহ্মাণ্ড যুড়ে
সম্মুখে রয়েছে পড়ে
তোমার সে কৰ্ম্ম ক্ষেত্ৰ- মহারঙ্গ ভূমি!
অশ্রুমালা।
অই ক্ষুদ্র জল বিন্দু,
অথবা অসীম সিন্ধু,
কর্ম্মহীন নহে কেহ, কৰ্ম্মময় সব!
জগত উন্নতি-পথে
ছুটেছে কালের রথে,
বিবর্ত্তন-চক্ৰ সদা ঘুরিছে নীরব!


ঊর্দ্ধে শমনের ডঙ্কা,
নিয়ে পতনের শঙ্কা,
কি ঘোর শঙ্কট, ভীত বিশ্ব চরাচর!
সে ঘুর্ণিত চক্রতলে,
নিষ্পেষিত পলে পলে,
চেতন, উদ্ভিদ কিংবা জড় ও অজড়!
এহেন শঙ্কট কালে
কে জানে কি আছে ভালে,
সুদৃঢ় নিয়তি-তন্ত্রে বাঁধ নিরন্তর!
বুঝিনা বিধির মৰ্ম্ম,
শুধু করিতেছি কৰ্ম্ম,
কৰ্ম্মময় আমি,- তিনি কর্মের ঈশ্বর!