দুপুর-অভিসার

যাস কোথা সই একলা ও তুই অলস বৈশাখে?
জল নিতে যে যাবি ওলো কলস কই কাঁখে?

সাঁঝ ভেবে তুই ভর-দুপুরেই দুকূল নাচায়ে
পুকুর-পানে ঝুমুর ঝুমুর নূপূর বাজায়ে
যাসনে একা হাবা ছুঁড়ি,
অফুট জবা চাঁপা-কুঁড়ি তুই
দ্যাখ রঙ দেখে তোর লাল গালে যায়
দিগ্বধূ ফাগ থাবা থাবা ছুঁড়ি,
পিক-বধূ সব টিটকিরি দেয় বুলবুলি চুমকুড়ি-
ওলো বাউল-ব্যাকুল রসাল তরুর সরস ঐ শাখে।।

দুপুর বেলায় পুকুর গিয়ে একূল ওকূল গেল দু’কূল তোর,
ঐ চেয়ে দ্যাখ পিয়াল-বনের দিয়াল ডিঙে এল মুকুল-চোর।
সারঙ রাগে বাজায় বাঁশি নাম ধরে তোর ওই,
রোদের বুকে লাগল কাঁপন সুর শুনে ওর সই।
পলাশ অশোক শিমূল-ডালে
বুলাস কি লো হিঙুল গালে তোর?
আ- আ মলো যা! তাইতে হা দ্যাখ,
শ্যাম চুমু খায় সব সে কুসুম লালে
পাগলি মেয়ে! রাগলি নাকি? ছি ছি দুপুর-কালে
বল কেমনে দিবি সরস অধর-পরশ সই তাকে?

[কলিকাতা
ফাল্গুন ১৩২৭]