হে চির-সুন্দর, বিশ্ব-চরাচর

হে চির-সুন্দর, বিশ্ব-চরাচর
তোমারি মনোহর রূপের ছায়া।
রবি-শশী-তারকায় তোমারি জ্যোতি ভায়
রূপে রূপে তব অরূপ কায়া।।

দেহের সুবাস তব কুসুমগন্ধে,
তোমার হাসি হেরি শিশুর আনন্দে।
জননীর রূপে তুমি আমাদের যাও চুমি,
তব স্নেহ-প্রেমরূপ কন্যা জায়া।।

হে বিরাট শিশু! এ যে তব খেলনা-
ভাঙাগড়া নিতি নব, দুখ-শোক-বেদনা।

শ্যামল পল্লবে সাগর-তরঙ্গে
তব রূপলাবণি দুলে ওঠে রঙ্গে,
বিহগের কণ্ঠে তব মধু কাকলি,
মায়াময়! শত রূপে বিছাও মায়া।।

[ভজন, ভৈরবী কার্ফা]