মিচ্কে-মারা কয় না কথা মনটি বড়ো খুঁতখুঁতে।
‘ছিঁচ্কাঁদুনে’ ভ্যাবিয়ে ওঠেন একটু ছুঁতেই না ছুঁতে।
ড্যাব্রা ছেলে ড্যাব্ড্যাবিয়ে তাকিয়ে থেকে গাল ফুলান,
সন্দেশ এবং মিষ্টি খেতে- বাস্রে বাস্- এক জাম্বুবান!
নিম্নমুখো-যষ্টি ছেলে দশটি ছেলে লুকিয়ে খান,
বদ্মায়েশির মাসি পিসি, আধখানা চোখ উঁচিয়ে চান!
হাঁদারা হয় হদ্দ বোকার, সব কথাতেই হাঁ করে!
ডেঁপো চতুর আধ-ইশারায় সব বুঝে নেয় ঝাঁ করে!
ভোঁদা খোকার নামটি ভুঁদো বুদ্ধি বেজায় তার ভোঁতা।
সব চেয়ে ভাই ইব্লিশ হয় যে ছেলেদের ঘাড় কোঁতা।
পুঁয়ে-লাগা সুঁট্কো ছেলে মুখটা সদাই মুচকে রয়!
পেটফুলো তার মস্ত পিলে, হাত-পাগুলোও কুঁচকে রয়!
প্যাঁট্রা ছেলের য়্যাব্বড়ো পেট, হাত নুলো আর পা সরু!
চলেন যেন ব্যাংটি হো হো উ-র্ গজ-ঢাক গাল পুরু!
গাবদা ছেলের মনটি সাদা একটুকুতেই হন খুশি,
আদর করে মা তারে তাই নাম দিয়েছেন মন্টুসি।
ষাঁড়ের নাদ সে নাদুসনুদুস্ গোবর-গণেশ যে শ্রীমান,
নাঁদার মতন য়্যাভ ভুঁড়ি তাঁর চলতে গিয়ে হুম্ড়ি খান!
ছ্যাঁচড় ছেলে বেদড় ভারি ধুম্সুনি খায় সব কথায়।
উদমো ছেলে ছটফটে খুব একটুকুতেই উতপুতায়!
ফট্কে ছেলে ছট্কে বেড়ায় আঁটি তারা বজ্জাতের,
দুষ্টু এবং চুলবুলেরা সবখানে পায় লজ্জা ঢের।
বোঁচা-নাকা খাঁদা যে হয় নাম রেখো তার চাম্চিকে,
এসব ছেলে তেঁদড়্ ভারী ডরায় না দাঁত-খাম্চিকে!
টুনিখুকির মুখটি ছোটো টুনটুনি তার মন সরল,
ময়না-মানিক নাম যার ভাই মনটি তারও খুব তরল!
গাল টেবো যাঁর নাম টেঁবি তাঁর একটুকুতেই যান রেগে।
কান্-খড়্কে মায়ের লেঠা, রয় ঘুমুলেও কান জেগে।
খুদে খুকির নামটি টেঁপু মা-দুলালি আব্দেরে।
ডর্-পুকুনে আঁৎকে ওঠে নাপ্তে দেখে আঁক করে!
পুঁটুরানি বাপ-সোহাগি, নন্দদুলাল মানিক মা’র,
দাদু বুড়োর ন্যাওটা যে ভাই মট্রু ছাগল নামটি তার!
ভূতো ছেলে ঠগ বড়ো হয়, ভয় করে না কাউকে সে,
নাই পরোয়া যতই কেন কিল আর থাপড় দাও ঠেসে।
দস্যি ছেলে ভয় করে না চোখ-রাঙানি ভূত-পেরেত,
সত্র-চোখি জুজুর খোঁজে বেড়িয়ে বেড়ায় রাতবিরেত!
ডান্পিটেরা ঝুল্ঝাপ্পুর গুলি-ডাণ্ডায় মদ্দ খুব!
বাঁদ্রা-মুখোর ভ্যাম্চিয়ে মুখ দাঁত খিঁচে বে-হদ্দ হুর!
বীর বাদল সে- দেশের তরে প্রাণ দিতে ভাই যে শিখে,
আন্বে যে সাত-সাগর-পারের বন্দিনী দেশ-লক্ষ্মীকে!
কেউ যদি ভাই হয় তোমজদের এম্নিতরো মর্দ ফের,
হো হো! তাকে পাঠিয়ে দেব বাচ্চা হোঁদল্ কুঁৎকুতের!