নাইয়া! ধীরে চালাও তরণী।
একে ভরা ভাদর তায় বালা মাতোয়ালা
মেঘলা রজনী।।
হায় পারে নেওয়ার ছলে নিলে মাঝ-নদীতে
যৌবন-নদী টলমল নারি রোধিতে,
ঐ ব্যাকুল বাতাস হরি নিল লাজ বাস,
তায় চঞ্চল-চিত যে তুমি চাহ বধিতে,
পায়ে ধরি ছাড় বঁধু
আমি পরের ঘরের ঘরণী।।
তরঙ্গ ঘোর রঙ্গ করে, অঙ্গে লাগে দোল,
একি এ নেশার ঘোরে তনু মন আঁখি লোল।
দুলিছে নদী দুলে বায়ু দুলিছে তরী,
কেমনে থির রাখি মোর চিত উতরোল।।
ওঠে ডিঙি পানসী ভরি বারি কি করি
কিশোরী রমণী।।
[ভৈরবী- কাশ্মীরী খেম্টা]