মধুমিতা বোন আমার

যখন রাত্রি নামে আঁধারের সিড়ি ভেঙ্গে
এই বাংলায়,
আকাশের তারাগুলো মমতার চোখ মেলে
এখানে তাকায়,
কিংবা কুয়াশার চাঁদর জড়িয়ে গায়ে
জোছনা হেটে যায় ভেজা ঘাস মাঁড়িয়ে ,
পার্কের মাঝখানে বুড়ো বট গাছটিতে
দুলে ওঠে বাতাসের দোলনা,
মনে পড়ে প্রিয় নাম মধুমিতা বোন আমার
ফিরে আসে নি আর ফিরে আসে না।

সারাদিন এলোমেলো সময়ের ঘড়ি দোলে
সূর্যটা ফিরে যায় ঘরের কোনে,
গোধূলীর হাত ধরে ফিরে এসে রাত্রি
স্মৃতির নকশী কাঁথা বোনে।

যুদ্ধের এক ভোরে ঘাতকের চোখ এড়িয়ে
মা’র সাথে মধুমিতা শহর ছাড়ে,
যেতে হবে বহুদূর সামনে বিশাল নদী
মুক্ত বাতাস আছে ওপারে।

রক্ত ছড়ানো পথে লাশের উপরে লাশ যেন
ঢাকা পড়ে আছে শিমুল ফুলে,
ব্যথিত দু’চোখ তার দেখে যায় চারপাশ
পলাতক মানুষেরা মৌন মিছিলে।

সহসাই এলো ওরা বিভৎস হুংকারে
বারুদের তাপে পুঁড়ে দোয়েলের বুক,
হারালো কোথায় বোনটি আমার
প্রিয় নাম মধুমিতা পানপাতা মুখ।

কন্ঠ ও সুর: মাহমুদুজ্জামান বাবু