রৌদ্র-রস

শুনিনু গম্ভীর-ধ্বনি গিরির গহ্বরে,
ক্ষুধার্ত্ত কেশরী যেন নাদিছে ভীষণে;
প্রলয়ের মেঘ যেন গর্জ্জিছে গগনে;
সচূড়ে পাহাড় কাঁপে থর থর থরে,
কাঁপে চারি দিকে বন যেন ভূকম্পনে;
উথলে অদূরে সিন্ধু যেন ক্ৰোধ-ভরে,
যবে প্রভঞ্জন আসে নিৰ্ঘোষ ঘোষণে।
জিজ্ঞাসিনু ভারতীরে জ্ঞানার্থে সত্বরে!
কহিলা মা;- “রৌদ্র নামে রস, রৌদ্র অতি,
রাখি আমি, ওরে বাছা, বাঁধি এই স্থলে,
(কৃপা করি বিধি মোরে দিলা এ শকতি)
বাড়বাগ্নি মগ্ন যথা সাগরের জলে।
বড়ই কর্কশ-ভাষী, নিষ্ঠুর, দুৰ্ম্মতি,
সতত বিবাদে মত্ত, পুড়ি রোষানলে।”

(৫৯)