উদ্যানে পুষ্করিণী

বড় রম্য স্থলে বাস তোর, লো সরসি!
দগধা বসুধা যবে চৌদিকে প্রখরে
তপনের, পত্রময়ী শাখা ছত্র ধরে
শীতলিতে দেহ তোর; মৃদু শ্বাসে পশি,
সুগন্ধ পাখার রূপে, বা বায়ু করে।
বাড়াতে বিরাম তোর আদরে, রূপসি,
শত শত পাতা মিলি মিষ্টে মরমরে,
স্বর্ণ-কান্তি ফুল ফুটি, তোর তটে বসি,
যোগায় সৌরভ-ভোগ, কিঙ্করী যেমতি
পাট-মহিষীর খাটে, শয়ন সদনে।
নিশায় বাসের রঙ্গ তোর, রসবতি,
লয়ে চাঁদে,- কত হাসি প্রেম-আলিঙ্গনে!
বৈতালিক-পদে তোরপিক-কুল-পাত;
ভ্রমর গায়ক; নাচে খঞ্জন, ললনে।

(৬৩)