****

নহি আমি, চারু-নেত্রা, সেমিত্রি কেশরী;
তবে কেন পরাভূত না হব সমরে?
চন্দ্র-চূড়-রথী তুমি, বড় ভয়ঙ্করী,
মেঘনাদ-সম শিক্ষা মদনের বরে।
গিরির আড়ালে থেকে, বাঁধ, লো সুন্দরি,
নাগ-পাশে অরি তুমি; দশ গোটা শরে
কাট গণ্ডদেশ তার, দণ্ড লো অধরে;
এ বড় অদ্ভুত রণ! তব শঙ্খ-ধ্বনি
শুনিলে টুটে লো বল। শ্বাস-বায়ু-বাণে
ধৈর্য্য-কবচ তুমি উড়ায়ে, রমণি,
কটাক্ষের তীক্ষ্ণ অস্ত্রে বিঁধ লো পরাণে।–
এতে দিগম্বরী-রূপ যদি, সুবদনি,
ত্রস্ত হয়ে ব্যস্তে কে লো পরাস্ত না মানে?

(৫৬)