দ্বিতীয় জন্ম

এ আর কিছুই নয়, দেখতে-দেখতে বড় হয়ে যাওয়া।
গণ্ডির এদিক থেকে পা
ওদিকে বাড়ানো।
এ আর কিছুই নয়, অন্ধকার সমুদ্রে যখন
শিউরে ওঠে গা,
নিজেকে তখনই এক ভিন্নতর অর্থে খুঁজে পাওয়া।

বুকের সমস্ত তন্ত্রী একসঙ্গে বেজে ওঠে- ঝনন!
তৎক্ষণাৎ ফোটে আলো,
কাটে রাত।
দূর দিগন্তের থেকে তৎক্ষণাৎ
ছুটে আসে হাওয়া।
দৃশ্যপট চোখের সম্মুখে পালটে যায়।

এ আর কিছুই নয়, এক ভাষা ছেড়ে দিয়ে আর-এক ভাষায়
পা রেখে দাঁড়ানো।
এ আর কিছুই নয়, অকস্মাৎ দু’হাত বাড়ানাে
অন্য দিকে।
উষালগ্নে দানপত্র লিখে
এ আর কিছুই নয়, দ্বিতীয় জন্মের দিকে যাওয়া।

আশ্বিন, ১৩৭৭