গ্রীণ লেনে রাত্রি

বিপুলা এ আঁধারের তুমি কতটুকু জানো?
কতটুকু রাত তুমি দেখেছো রাত্রির- আমি
তোমার রাতের চেয়ে দীর্ঘতর রাত মধ্যরাতে
ঘরে ফেরা মাতালের মতো নামতে দেখেছি
গ্রীণ লেনে।

আমার নিজের চোখে, কানের দু’পাশ দিয়ে
বজ্রপাতে দগ্ধ তালগাছ পুড়ে পুড়ে নেমেছে
মাটিতে- আমার নিজের চোখে দেখেছি সে
গাঢ় অন্ধকার, কৃষ্ণবিদুৎ যেন মায়ের জরায়ু
ছিঁড়ে ঝলকে বেরিয়ে আসা চিত্রাঙ্গদা,
নিগ্রোব্ল্যাক, এঞ্জেলা ডেভিস।

রাত্রির চরিত্র নিয়ে কে ওখানে তর্ক করে?
ওরা কেউ তোমাকে জানে না। আমি আদমের
মতো স্রষ্টার নির্মাণ স্পর্শে অনুভব
করেছি তোমাকে। রাত্রির চঞ্চল হাত
রমণী রমণরত পুরুষের বাহুর মতন ভালবেসে
কেঁপেছে আমাতে। আমার কণ্ঠের নীলে,
গ্রীবায়, বাউলচুলে, চোখের তারায়,
গুম্ফময় শীর্ণ ঠোঁটেও কামুক নারীর মতো
একদিন করেছে চুম্বন। আমি রক্ত চক্ষু মেলে
গ্রীণলেনে দেখিয়াছি পথিবীর শেষ অন্ধকার।