কথোপকথন ১৮

সাদা হাতে সোনার কাঁকনের মতো কলমিলতা আমাকে জড়িয়ে
জলের সুস্বাদ পেয়েছি আমি একদিনে।
পানের সঙ্গে যেমন চুন-সুপারি
গানের সঙ্গে যেমন ভিতরকার কথা
কলমিলতা আমাকে সেইভাবে জুড়ে দিয়েছে জলকল্লোলে।
যত আস্তেই বল না কেন
বৃষ্টির শব্দে বাজবে আমার কানে।
যতই লুকিয়ে রাখতে চাও না কেন ছেঁড়া পালক
প্রতিবিম্ব পৌছে দেবে সিঁড়ির শেষ ধাপে।
জলে ঢেউ দিলে কত দূরে ছড়িয়ে যায় তার আলপনা
কলমিলতা দেখিয়ে দিয়েছে আমাকে।

শুভঙ্কর,
কী যে কৃতজ্ঞ আমি তোমার কাছে।
অভ্যাসের বদ্ধ চিলে কুঠরী থেকে
এই কিনারাহীন জলসমারোহের কিনারায় তোমারই হ্যাঁচকা টানে।
মনে হচ্ছে বতিচেল্লীর ঝিনুক থেকে
জন্মলাম আর একবার।

(নন্দিনীর চিঠি শুভঙ্করকে ২)