যাত্রা

রাজা করে রণযাত্রা,
বাজে ভেরি, বাজে করতাল,
কম্পমান বসুন্ধরা।
মন্ত্রী ফেলি’ ষড়যন্ত্রজাল
রাজ্যে রাজ্যে বাধায় জটিল গ্রন্থি।
বাণিজ্যের স্রোত
ধরণী বেষ্টন করে জোয়ার-ভাঁটায়।
পণ্য-পোত
ধায় সিন্ধুপারে-পারে।
বীরকীর্ত্তিস্তম্ভ হয় গাঁথা
লক্ষ লক্ষ মানব-কঙ্কাল স্তূপে,
ঊর্ধ্বে তুলি’ মাথা
চূড়া তার স্বর্গ-পানে হানে অট্টহাস।
পণ্ডিতেরা
আক্রমণ করে বারম্বার
পুঁথির প্রাচীর ঘেরা
দুর্ভেদ্য বিদ্যার দুর্গ।
খ্যাতি তার ধায় দেশে দেশে।
হেথা গ্রামপ্রান্তে নদী বহি’ চলে প্রান্তরের শেষে
ক্লান্ত স্রোতে।
তরীখানি তুলি’ লয়ে নববধূটিরে
চলে দূর পল্লী-পানে।
সূর্য অস্ত যায়।
তীরে তীরে
স্তব্ধ মাঠ।
দুরুদুরু বালিকার হিয়া।
অন্ধকারে
ধীরে ধীরে সন্ধ্যাতারা দেখা দেয় দিগন্তের ধারে।।

১২ মাঘ, ১৩৩৮