নৌকাযাত্রা

মধু মাঝির ওই যে নৌকোখানা
বাঁধা আছে রাজগঞ্জের ঘাটে,
কারো কোনো কাজে লাগছে না তো,
বোঝাই করা আছে কেবল পাটে।
আমায় যদি দেয় তারা নৌকাটি
আমি তবে একশোটা দাঁড় আঁটি,
পাল তুলে দিই চারটে পাঁচটা ছ-টা,
মিথ্যে ঘুরে বেড়াই নাকো হাটে।
আমি কেবল যাই একটিবার
সাত সমুদ্র তেরো নদীর পার।

তখন তুমি কেঁদো না মা, যেন
বসে বসে একলা ঘরের কোণে,
আমি তো মা, যাচ্ছি না কো চলে
রামের মতো চোদ্দবছর বনে।
আমি যাব রাজপুত্র হয়ে
নৌকো-ভরা সোনামানিক বয়ে,
আশুকে আর শ্যামকে নেব সাথে,
আমরা শুধু যাব মা তিন জনে।
আমি কেবল যাব একটিবার
সাত সমুদ্র তেরো নদীর পার।

ভোরের বেলা দেব নৌকো ছেড়ে,
দেখতে দেখতে কোথায় যাব ভেসে।
দুপুরবেলা তুমি পুকুর ঘাটে,
আমরা তখন নতুন রাজার দেশে।
পেরিয়ে যাব তির্পুর্ণির ঘাট,
পেরিয়ে যাব তেপান্তরের মাঠ,
ফিরে আসতে সন্ধে হয়ে যাবে,
গল্প বলব তোমার কোলে এসে।
আমি কেবল যাব একটিবার
সাত সমুদ্র তেরো নদীর পার।