প্রাচী

জাগো হে প্রাচীন প্রাচী!
ঢেকেছে তোমারে নিবিড় তিমির
যুগযুগব্যাপী অমারজনীর;
মিলেছে তোমার সুপ্তির তীর
লুপ্তির কাছাকাছি।
জাগো হে প্রাচীন প্রাচী।

জীবনের যত বিচিত্র গান
ঝিল্লিমন্ত্রে হল অবসান;
কবে আলোকের শুভ আহ্বান
নাড়ীতে উঠিবে নাচি।
জাগো হে প্রাচীন প্রাচী।

সঁপিবে তোমারে নবীন প্রাণী কে।
নবপ্রভাতের পরশমানিকে
সোনা করি দিবে ভুবনখানিকে,
তারি লাগি বসি আছি।
জাগো হে প্রাচীন প্রাচী।

জরার জড়িমা-আবরণ টুটে
নবীন রবির জ্যোতির মুকুটে
নব রূপ তব উঠুক-না ফুটে,
করপুটে এই যাচি।
জাগো হে প্রাচীন প্রাচী।

“খোলো খোলো দ্বার, ঘুচুক আঁধার”,
নবযুগ আসি ডাকে বার বার-
দুঃখ-আঘাতে দীপ্তি তোমার
সহসা উঠুক বাঁচি।
জাগো হে প্রাচীন প্রাচী।

ভৈরবরাগে উঠিয়াছে তান,
ঈশানের বুঝি বাজিল বিষাণ,
নবীনের হাতে লহো তব দান
জ্বালাময় মালাগাছি
জাগো হে প্রাচীন প্রাচী।

শিলঙ
জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩০