শেষ অর্ঘ্য

যে তারা মহেন্দ্রক্ষণে প্রত্যুষ বেলায়
প্রথম শুনালো মোরে নিশান্তের বাণী
শান্তমুখে; নিখিলের আনন্দ মেলায়
স্নিগ্ধকণ্ঠে ডেকে নিয়ে এলো; দিলো আনি’
ইন্দ্রাণীর হাসিখানি দিনের খেলায়
প্রাণের প্রাঙ্গণে; যে সুন্দরী, যে ক্ষণিকা
নিঃশব্দ চরণে আসি’, কম্পিত পরশে
চম্পক অঙ্গুলি-পাতে তন্দ্রা-যবনিকা
সহাস্যে সরায়ে দিলো, স্বপ্নের আলসে
ছোঁয়ালো পরশমণি জ্যোতির কণিকা;
অন্তরের কণ্ঠহারে নিবিড় হরষে
প্রথম দুলায়ে দিলো রূপের মণিকা;
এ-সন্ধ্যার অন্ধকারে চলিনু খুঁজিতে,
সঞ্চিত অশ্রুর অর্ঘ্যে তাহারে পূজিতে।

(ফাল্গুন, ১৩৩০)