ও শ্যাম কালিয়া আর আমারে জ্বালাইওনা বাঁশিটি বাজাইয়া

ও শ্যাম কালিয়া আর আমারে জ্বালাইওনা বাঁশিটি বাজাইয়া।। ধু।।
তুমি যখন বাজাও বাঁশি কদম ডালে বইয়া
প্ৰাণ আমার উচাটন করে কর্ণে সুর প্রবেশিয়া৷
হাতের কাম কারিয়া পড়ে বাঁশির স্বর শুনিয়া
নিকামা দেখি নন্দে কয় কি শূনো দাঁড়াইয়া
কি বলি তখন আমি না পাই তুকাইয়া
তখন নন্দে গালি দেয় মা বাপ্ তুলিয়া
নন্দের গালি শুনিয়া না শুনি থাকি নীরব হইয়া
বাঁশির সুরে নন্দের গালি যায়গি তলাইয়া৷
ভাবে বুঝে নন্দে আমার কয় কথা ঘুরাইয়া
‘লাংগের টান’ টানো বুজি ‘হাইর’ ভাত খাইয়া
তে কেনে যাও না চলি লাংগের লগ্ ধরিয়া
ডাটা অইয়া উবাই কি লাভ হাইর কাম পালাইয়া৷
ভাবিয়া রাধারমণ বলে শ্যামরে কালিয়া
আর দিও না জ্বালা মোরে রাধা সুর বাজাইয়া।।

[পূর্বরাগ]