গ্রহ-রহস্য

কে পূরে দিলে রে,-
আলোকের গোলক দিয়ে, এই অন্তশূন্য ফাঁক!
কি বিরাট বন্দোবস্ত, ভাব্‌তে লাগে তাক্‌!
কে ধ’রে আছে তুলে, কি ধ’রে আছে ঝুলে,
পড়ে না সূতো খুলে, বছর কোটি লাখ!
কেউ আছে চুপ্‌টি করে, কোনটা কেবল ঘোরে,
নিমিষে যোজন জুড়ে, খাচ্ছে কোটি পাক্‌!
কোনটা তীব্ৰ-অনল, কেউ আবার শান্ত-শীতল,
কেউ, মাঝে মাঝে দেখা দিয়ে ঘটায় দুর্ব্বিপাক!
কি দিয়ে তো’য়ের হ’ল, কেন বা ঘূরে ম’ল,
ডেকে আন্ জ্যোতির্ব্বিদে, বুঝিয়ে দিয়ে যাক্‌।
“জ্ঞান” দেখে বুঝ্‌বি, পাছে
“জ্ঞানী” এক বসে আছে,
কান্ত তুই বুঝ্‌বি যদি, সেই জগদ্‌গুরুকে ডাক্‌।

মিশ্র ভৈরবী- জলদ একতালা।