সাধনার ধন

সে কি তোমার মত, আমার মত, রামার মত, শামার মত,
ডালা কুলো ধামার মত, যে পথে ঘাটে দেখ্‌তে পাবে?
সে কি কলা মূলো, কুমড়ো কাঁকুড়,
বেগুন শশা, বেলের মত?
পেয়ারা পাতা, তাল কি কাঁটাল,
আম জাম, নারিকেলের মত?
সে কি রে মন, মুড়্‌কী মুড়ী, মণ্ডা জিলিপী কচুরী?
যে, তাম্রখণ্ডে খরিদ হ’য়ে, উদরস্থ হ’য়ে যাবে?
সে তো হাট-বাজারে বিকায় না রে,
থাকে না তত গাছে ফ’লে,
দিল্লী লাহোর নয়, যে রাস্তা
করিম-চাচা দেবে ব’লে,
মাম্‌লাতে চলে না দাওয়া, ওয়ারিস্-সূত্রে যায় না পাওয়া,
সে যে নয় মলয়া হাওয়া, যে বাহার দিয়ে বেড়িয়ে খাবে!
সে যে যোগী ঋষির সাধনের ধন,
ভক্তিমূলে বিকিয়ে থাকে,
সে পায়, “সর্ব্বং সমর্পিত-
মস্তু” ব’লে যে জন ডাকে;
মন নিয়ে আয় কুড়িয়ে মনে, ব্যাকুল হ’ তার অন্বেষণে,
প্রেম-নয়নে সঙ্গোপনে, দেখ্‌বে, যেমন দেখ্‌তে চাবে।

মিশ্র বিভাস- ঝাঁপতাল।