কোনো নেতার প্রতি

দশে যা’ বর্জ্জন করে, লোকে বলে, সেই আবর্জ্জনা
তাই শিরোধার্য্য হ’ল? তাই হ’ল তব উপার্জ্জনা?
বিদেশীর দরজায় পেয়ে উচ্ছ উচ্ছিষ্টের কণা
থেমে গেল অকস্মাৎ তুগু-পুটে সিংহের গর্জ্জন!

স্বদেশ একদা যারে দিয়েছিল ফুলের মুকুট,
একি হায় সেই তুমি? মর্য্যাদায় রাজার অধিক-
ছিল যেই! এ কি ভিক্ষাবৃত্তি আজ? একি ঝুটমুট-
ঝুটা সম্মানের লাগি’ সম্মানীর লাঞ্ছনা, হা ধিক্!

জীয়ন্তে জালিয়াঁ-বাগে পুঁতে ফেলে ভারত-মাতায়,
শ্রাদ্ধে দেবে স্বর্ণ-ধেনু; অগ্রাহ্য সে অমানুষ দান;
ভাটেরা আসুক ছুটে, দলে দলে, ক্ষতি নাই তায়,
তুমি যে ভিড়েছ সঙ্গে, এই দাগা, এই অপমান।

না লুকাতে রক্তচিহ্ন, না শুকাতে নয়নের পানি,
প্রবীণ স্বদেশ-ভক্ত! যেচে গিয়ে হ’লে অগ্রদানী!