রূপনারায়ণ

কে তোমারে দিল নাম? কোন্ গুণী? রূপনারায়ণ!
কে দেখিল দিব্যচোখে নীর-শায়ী রূপ-দেবতায়?
সে কোন্ বিস্মৃত কবি? পরশিল একটি কথায়
ভাবের অতলস্পর্শ, অর্পিল প্রাণের রসায়ন
গোত্রহীন নীরধারে? বিশ্ব-বেদ-সূক্তের সায়ন
নমস্য সে নামহীন। কান্ত তুমি সমুদ্রের প্রায়,
শান্ত দেবতার মত, আকশেরে চুম্বিছ লীলায়
হে বিপুল! কণ্ঠে তব সন্ধ্যার মন্দার-উপায়ন!
অপ্রকাশ অনন্ত-শয়ন দেবতার বিম্ব তুমি-
হে বরদ! লক্ষ্মীরূপা ক্ষেত্ৰভূমি তব পদে বাধা;
অঙ্গে সমুদ্রের মুদ্রা- সঙ্গে উপনদীদের পুঁজি;
ত্বরাহীন তন্দ্রাহীন চলিয়াছ তট চুমি’ চুমি’।
আকাশের ছবি বুকে,- তুমি যেন আকাশেরি আধা,
মহাশান্তি মহাব্যাপ্তি আত্মার সতীর্থ তুমি বুঝি!