তান্কা-সপ্তক

(কবিবর দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের মৃত্যুতে)

অশ্রুর দেশে
হাসি এসেছিল ভুলে;
সে হাসিও শেষে
মরণে পড়িল ঢুলে।
অশ্রু-সায়র-কূলে।

সে ছিল মূর্ত্ত
হাস্যের অবতার,
প্রতি মুহূর্ত্ত
ধ্বনিত হাসিতে তার।
হরষের পারাবার!

এ্যম্বক প্রভু
তারে দিয়েছিল হাসি,
হাসি তার কভু
জমাট তুষার-রাশি।
সে পুন “মন্দ্র” ভাষী!

ফেনিল হাস্য
সাগরের মতো তার;
বিলাস, লাস্য,
হুঙ্কার, হাহাকার,-
মিলে মিশে একাকার!

জ্যোৎস্না রাত্রি
চুপে তারে নেছে ডেকে
পারের যাত্রী
গিয়েছে এ পার থেকে
হাসির অঙ্ক রেখে!

আলো অবসান
শেষ মলিনতা জিনে,
পরিনির্ব্বাণ-
তিথির পূর্ব্ব দিনে,
লঘু মনে বিনা ঋণে!

দেশ-জোড়া শোকে
অ-শোকের মূল দহে;
এ অশ্রু-লোকে
অশ্রু দ্বিগুণ বহে।
তবু সে শীতল নহে!