চন্দ্রালোকে

কি শস্তায় পরিষ্কার হল উর্ণাজাল,
হলুদ কাগজ, কাঁটাতার ময়লা পুরোনো দাগ,
দেয়ালের বালি; বিশল্যকরণী দিয়ে ছুঁলো চাঁদ
সন্ধ্যায়, -বিশীর্ণ ম্লান লম্বা জ্যোতিপাতে
অতর্কিতে একটি বাড়ির বাঁকে, ঠাণ্ডা ফুটপাতে।
অচেনা গলার ভাঙ্গা ভারী গান অদৃশ্য গলিতে,-
বিধ্বস্ত, স্মৃতির মত পাঠালো সে ঝলকে ঝলকে পলক-না-পড়া হাওয়া
ফিরলো উষ্ণতা যেন পুরোনো কোমল মখমলে; বাতি-জ্বালা, লাল, নীল
কাঁচের দোকান একপাল অপ্সরীর মত নেচে নেচে
দেখালে কত-না রঙ্গ, যেন তারা কত মোহনীয়,
একরাশ ধুলোপাতা বিশুদ্ধ আনন্দে শুধু তাল ঠুকে গেল।

পরাস্ত সকল ইচ্ছা, উদয়াস্ত যা-যা ভেবে মরি
তার কোন সুন্দর সচল সমাধান করে দিতে পারবে না এই হাওয়া
শুধু এক নির্বোধ, পরম বালখিল্যতায় জড়িয়ে ধরতে চায় গলা।
ফিরে ফিরে ভাঙ্গা হারমোনিয়াম আনে অতীত আর্দ্রতা
‘হে আমার প্রেম, নিষ্প্রাণ ময়ূরপঙ্খী কোন জলে ভাসবে না?’
(বালির তরঙ্গে তার নিতম্বের কঠিন করোটি, কোন কান্নাই ছোঁবে না)
হে আমার প্রেম, নিষ্প্রাণ ময়ূরপঙ্খী দাঁড় পড়ে হৃৎস্পন্দনে
আমার অপেক্ষা ফুরোবে না।