জন্মবৃত্তান্ত

সূর্যের জ্বলজ্বলে আরক পান করেছিল নাকি
মাতৃজরায়ন, আমার মাংসে যার
বিচ্ছুরিত ভাপ। হরিদ্রাভ আকাশের ওষ্ঠে জমে ওঠা
আমি কি হঠাৎ কোন পথভ্রষ্ট চুন?

দৈবাৎ বিক্ষিপ্ত এই বিশ্বলোকে
মুহ্যমান নগরশীর্ষে
লুটিয়ে পড়া এক নির্বাসিত কেতন
অথবা শূন্যতার সৌরগলার নক্ষত্রোচ্ছল বমন?

তবে কি আপাতরম্য স্বতন্ত্র
রসায়নে তারতম্য দেখা দিলে
গাছ-পালা রৌদ্র-জলের সঙ্গে
বৃষ্টি আর কাদায় কুঁকড়ে
আগুনের আশ্লেষে
হঠাৎ হাওয়ার শিউরানি
ভরে দিলো, ছুঁড়ে দিলো যেন মন্দের পরামর্শে
এই মৌলিক দূরত্বে?
(অর্থাৎ নিকষ বিচ্ছেদ)
ঝোপের আড়ালে থাকে শেয়ালেরা
গাছের শিখরে নীলকান্ত মণির মত চোখে
চেয়ে দ্যাখে পাখি, হাতের উৎসর্গিত রুটি,
অঞ্জলির জলে বসায় না মুখ কোন
চিতল হরিণী কিংবা চিত্রার্পিত চিতা
দূর থেকে ডাকে কাঠঠোকরা
দুলকি চালে কাঠবিড়ালী যায়,-

নিঃশব্দে রুটি ঝরে, জলে ভাসে কেবল
নিজস্ব মুখের আদল।।