২৩ অক্টোবর, ১৯৯৪

আমার ধূসরতাকে বালুকণার মতো উড়িয়ে
তুমি বললে, ‘কাল তোমার জন্মদিন,
এই উপলক্ষে তোমাকে
কয়েকটি কথা লিখে পাঠাতে চাই। ভাবছি,
রবীন্দ্রনাথ থেকে চয়ন করব
পংক্তি, কী বলো? তোমার কণ্ঠস্বরে
আমার জন্মদিনের
সকাল ছিল, ছিল হৃৎস্পন্দনের প্রতিভাস।

“মিছেমিছি ‘সঞ্চয়িতা’-র কাছে” আমি জানাই,
“হাত পাতবে কেন? বরং নিজেই তুমি
লিখে ফেলো কিছু”। “কী সাধ্য আমার
তোমার উদ্দেশে রচনা করি পংক্তিমালা”-তুমি
এই বাক্য সাজাও এবং আমার জন্মদিন
নবীন যুবার মতো উৎসুক চোখ মেলে তাকায় তোমার দিকে।

তোমাকে বলি, “যদি তুমি একটি সাদা পাতার ঠোঁটে
কলমের ওষ্ঠ স্থাপন করো, তাহলে
একটি দোয়েল, কতিপয় প্রজাপতি
শূন্য পাতাটিকে ঘিরে উড়ে বেড়াবে,
কিছু কনকচাঁপা
বাড়িয়ে দেবে হাত। ওদের সমবায়ী সহযোগিতায়
তোমার প্রয়াসে প্রস্ফূটিত হবে ভালোবাসার
হৃৎকমল, শুভেচ্ছার অপরূপ পরিভাষা।

আমি তোমার মৃদু হাসি অনুভব করি
আমার সত্তার তন্তুজালে। আমার উপলব্ধিতে
তরঙ্গ তুলে তোমার জন্মদিন
আমার জন্মদিনকে সোনালি বনহংসীর মতো
অনুসরণ করে মানস সরোবরে,
যেখানে আমাদের অবিনশ্বর মিলনোৎসব।

২২.১০.৯৪