বড়ে গোলাম আলির মাহাড়ি শুনে

পাকদন্ডী মহেঞ্জোদারোর গূঢ় স্তব্ধতার মতো
স্তব্ধতায় স্নান করে, লাজনম্র হয়
ছায়ার চুমোয়। কিয়দ্দূরে
দেখা যায় একটি বাদামি ঘোড়া, বয়েসী সওয়ার,
চোখে যার সূর্যের গহন
আবীর এবং গৃহদাহ, কবরখানার স্মৃতি।

চকিতে প্রচ্ছন্ন ঝরণা প্রকাশিত হলে
জলপানে মগ্ন হয় ঘোড়া,
আরোহী ভীষণ খরাপোড়া আঁজলায়
তুলে নিয়ে জল
ভাবে তৃষ্ণা তার মর্মমূলে জ্বলে ধু ধু
চিতাগ্নির মতো দিনরাত।
আরোহী ঘোড়ার ঘামাপ্লুত
ধনুক-গ্রীবায় রাখে হাত; বুকের ভেতরে তার
কবেকার ভোরবেলা, কুয়োতলা, পুষ্পিত ডালের
শোভা প্রস্ফুটিত অকস্মাৎ। এবং একটি নাম
লতাগুল্মে, কাঁটা ঝোপে ঝরণার নুড়িতে
স্বপ্নাদ্য হীরের আংটি। দেখা দিয়ে বনদেবী চকিতে মিলায়।

কিছু কি পরিকল্পনা ছিল পর্যটনে? এ কেমন পথচলা
ক্রমাগত? যত সে এগোয়,
ততই দূরত্ব বেড়ে যেতে থাকে। পৌঁছবে আখেরে
কোনখানে ভরসন্ধেবেলা? পৌঁছবে কি?
হয়তো ফিরে যেতে হবে। আহার না ক’রে কিংবা মাদুরে না শুয়ে
শুধু কবিরাই পারে ফিরে যেতে প্রত্যাশাবিহীন।