বেজে ওঠে আলোর ঝংকার

কোন্‌ তীর্থে যাব আজ? কোথাও যাবার পথ নেই।
এই দম-আটকানো অন্ধকারে। হাত্‌ড়ে
হাত্‌ড়ে পথ চলি সারাক্ষণ, এগিয়েছি
ভেবে দেখি পিছিয়ে গিয়েছি বহুদূর,
যাত্রাই করিনি যেন, এরকম স্থানু
এখানে আমরা সব পচাগলা শবের মতোই।

এই মাত্র এ কাকে করেছি আলিঙ্গন
ভরাট ব্যাকুলতায়? মানুষের মতো, তবু কেন
মানব হয় না মনে অনুভবে? সর্বাঙ্গে কর্কশ
লোম তার, নিঃশ্বাস প্রশ্বাসে তীব্র গন্ধকের ঘ্রাণ।

বন্‌ বন্‌ লাঠি ঘোরে চতুর্দিকে, অস্ত্র শানানোর
শব্দে ঘুম নেই চোখে বস্তুত ব্যাপক
কারাগারে; মোহান্ত ও শাস্ত্রীদের মুখে
সর্বদা ধর্মের বুলি, অথচ শহজে মাতে ওরা নরবলি
এবং বীভৎস কোলাহলে। সুন্দরের
দিকে দাঁত খিঁচিয়ে সদলে তেড়ে আসে বার বার।

পূর্ণিমা, প্রেমের গান আর নৃত্যকলা
আর মুক্তপক্ষ মননকে ওরা বেআইনী
করেছে সদর্পে, কবিদের মিথ্যাবাদী আখ্যা দিয়ে
ঝরিয়েছে লানতের বৃষ্টি অবিরাম।
অকস্মাৎ কার কণ্ঠে বেজে ওঠে আলোর ঝংকার
‘তীর্থের কী প্রয়োজন এবার গা ঝাড়া দাও একত্রে সবাই,
হাতকড়া খসে যাবে চোখের পলকে,
খুলে যাবে সকলের পায়ের শেকল অচিরেই,
সূর্যোদয় বিছাবে গালিচা তোমাদের খোলা পথে।

২২/৮/৯৫