বেড়ালের জন্য কিছু পঙক্তি

একটি বেড়াল ছিল ক’বছর আমার বাসায়
কুড়িয়ে আদর, বিশেষত আমার কনিষ্ঠা কন্যা
ওর প্রতি ছিল বেশি মনোযোগী, নিয়মিত ওকে
দেখাশোনা করা, ওর প্রতীক্ষায় থাকা প্রতিদিন,
নাওয়ানো, খাওয়ানো, ওর জন্যে নিজের ভাগের মাছ
তুলে রাখা ছিল তার নিত্যকার কাজ। একদিন
বলা-কওয়া নেই, সে বেড়াল কোথায় উধাও হলো,
কিছুতে গেল না জানা, খোঁজাখুঁজি হলো সার আর
আমার কনিষ্ঠা কন্যা ভীষণ খারাপ করে মন
খেল না দুদিন কিছু চুপচাপ নিলো সে বিছানা,
উপরন্তু বলেনি আমার সঙ্গে কথা অভিমানে,
যেন বেড়ালের এই অন্তর্ধান আমারই কসুর!

কী করে বোঝাই তাকে? ‘আচ্ছা এবার তাহলে আসি
আবার কখনো হবে দেখা’ বলে দিব্যি কোনো কোনো
মানুষও তো এভাবেই চলে যায় বিপুল শূন্যতা
দিয়ে উপহার, তার সঙ্গে দেখা হয় না কখনো।