কাঁটাও ব্যথিত হয়

সূর্যাস্তের কাছে এসে অকপট
বলা যেতে পারে-
কবির জীবন ঘিরে কত শত
ভ্রম ফুটে আছে।
অবশ্য মাশুল গুনে যেতে
হবে কিছুকাল, যদি দীর্ঘ বেঁচে
থাকে।

ঈষৎ স্বাতন্ত্র্য নিয়ে বাঁচতে
চেয়েছে কবি, তাই
সঙ্ঘের কলহ থেকে নিজেকে
বাঁচিয়ে
করুণ রঙিন পথে হেঁটে যায়,
দু’ধারে নিভৃতে
সপ্রেম রোপণ করে স্বপ্নময়
চারা,
যেসব হয়ত ছোঁবে নীলিমাকে
গভীর আস্থায়
কোনোদিন, বস্তুত কবির
কোনো অবিনয় নেই।

অপমানে বিদ্ধ হয় কবি বার
বার, দ্যাখে, অবলীলাক্রমে
প্রতিষ্ঠিত মিত্র শক্র হয়ে যায়
সঙ্ঘের বাচাল
পরামর্শে, ভাবনার ধোঁয়াশায়
শীতল মাথায়
কবিকে হনন করে প্রত্যহ
দু’বেলা। এইসব জেনে শুনে
প্রতারক বন্ধু তার চক্রব্যূহে
যায়, অনুরাগে
আলিঙ্গন করে নিত্যদিন কত
মুখোশধারীকে।

কোনো কোনো সুহৃদ সজীব
আর জাঁদরেল খুব,
তবু ওরা ফ্রিজে-রাখা
ছাগমাংসের মতই মৃত
কবির হৃদয়ে। সে তো কাঁটার
ওপর হেঁটে যায়
প্রায়শই, মাঝে-মাঝে পুষ্পবৃষ্টি
হয়, সকৃতজ্ঞ দৃষ্টি তার
প্রসারিত সত্যসন্ধ লোকদের
প্রতি
কীর্তিনাশা সময়ের ক্রুর তটে
একাকী দাঁড়িয়ে।

এখন কবির অপমানে
গোলাপের
কাঁটাও ব্যথিত আর নক্ষত্রেরা
হয় অশ্রুজল।

৯.৩.৯৪