মাটির ঘ্রাণের ছোঁয়া

প্রায় সারাদিন ঘুরে ঘুরে বিকেলের ঠাণ্ডা রোদে
ঘরের বাইরে রাখা চৌকিতে একটি
লাশ দেখে থমকে দাঁড়াই। এই লাশ
অন্য কারও নয়, এতো স্বয়ং আমার।

বাড়ির সবাই শোকাহত বড়, কারও কারও চোখ
অশ্রুময়। ঘরের ভেতর থেকে ক্রন্দনের রোল
ভেসে এসে লাশটিকে ছুঁয়ে যায়,
লাশ সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন ভীষণ।

আমাকে দেখেও কেউ বলে না কিছুই। যেন আমি
অবয়বহীন কেউ চলাফেরা করছে এখানে
সারাক্ষণ আমি ডাকাডাকি করলেও
কারও কিছু এসে যায় না। তবে কি মৃত আমি?

গোসলের শেষে লাশটিকে কাফন পরিয়ে খাটে
শুইয়ে সবাই নিয়ে যায় গোরস্তানে। দেখি আমি
যাচ্ছি ঢুকে কবরের ভেতরে এবং
আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবাই
দোয়া দরুদের আভা দেয় মেখে লাশের অস্তিত্বে,
সবাই বিদায়্য নেয় আমি রয়ে যাই অন্ধকারে।

বাসগৃহে মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে গেলে দেখি পাশে
ঘুমিয়ে আছেন সুখে জীবন-সঙ্গিনী;তবু আমি
একা, বড় একা বোধ করি আর যেন
নাকে লাগে ভেজা মাটির ঘ্রাণের নগ্ন ছোঁয়া!