পাস্তারনাকের কবরে

হঠাৎ গেলাম পৌঁছে একদিন; ছিল না প্রস্তুতি
এক রত্তি, দীর্ঘকায় রুশ যুবা নিরিবিলি পথ
নিশ্চুপ দেখিয়ে নিয়ে যায়, হাঁটি আমি ছায়াবৎ,
শুনি ফুল করে স্তব নিরালায়, পাখি গায় স্তুতি।
আছেন ঘাসের নিচে শুয়ে একা, বড় একা কবি
অনন্তের আলিঙ্গনে অতিশয় অগোচরে। খোঁজ
সহজে মেলে না যত্নহীন কবরের, শুধু রোজ
সেখানে নিঝুম বাজে নিসর্গের ভৈরবী, পূরবী।

নিঃশব্দে দাঁড়াই ছায়াচ্ছন্নতায়; কিছু ঝরাপাতা
কবরকে চুমো খায়, তন্বী লতা রাষ্ট্ররোষে দগ্ধ
নিঃসঙ্গ কবিকে দ্যায় চুপিসারে ঠাণ্ডা ছায়াঞ্জলি।
তাঁর জন্ম জয়ন্তীতে তরুণ তরুণী শান্ত, স্তব্ধ
পায়ে আসে এ নিষিদ্ধ তীর্থে এবং নোয়ায় মাথা,
রাখে কিছু ফুলের স্তবক, নিবেদিত পদাবলী।