পত্র – ৩৩

শ্রদ্ধাস্পদাসু. ৫০

মা, আপনার ছোট্ট মৌচাকটি আমার হস্তগত হল। কিন্তু কৃপণতার জন্য দুঃখ পেলাম।

আপনি আমায় যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি যেতে বলেছেন। আপনার আগ্রহ আমায় লজ্জা দিচ্ছে তাড়াতাড়ি যেতে পারছি না বলে। আপনার আগ্রহ উপেক্ষা করতে পারব বলে মনে হয় না। আমার মুর্শিদাবাদ যাবার ইচ্ছে নেই। তবে ঝাঁঝায় যাবার কথা হচ্ছে দাদা-বৌদির- সেখানে যেতে পারি। তবে আপনাদের ওখানকার আমন্ত্রণ সেরে।

সেদিন আপনাদের ট্রেইনখানা আমার সামনে দিয়ে গেল, পিছন থেকে অমূল্যবাবুকে দেখেছিলাম, আর দেখেছিলাম আপনার কয়েকজন সহযাত্রীকে, কিন্তু আপনাকে দেখলাম না দুঃখের বিষয়।… কিছুদিন মনে হ’ত, আজ সন্ধ্যায় কোথাও যেতে হবে না! আজকাল সে-ভাব থেকে মুক্ত। আপনারা নিশ্চিয়ই ভাল আছেন? আপনি আমার, -থাক কিছুই জানাব না।

… এমন একজন আপনার বাবা হতে পারবে না; কারণ, তার বড় ভয়, পাছে সে বাবা হলে বাবার কর্তব্য হতে বিচ্যুত হয়। আর আপনার ‘অরুণ-বাবা’টি তো মেয়ের আবদারে নাকি কলের পুতুল ব’নে আছে। সুতরাং উল্টোটাই হোক। আপনার কৃপণতার প্রতিশোধ নিলুম, ছোট চিঠি দিয়ে। ইতি-

-সুকান্ত