শ্রীগোবিন্দকথা

আমি অর্থাৎ শ্রীগােবিন্দ মানুষটি নই বাঁকা!
যা বলি তা ভেবেই বলি, কথায় নেইকো ফাঁকা।
এখানকার সব সাহেবসুবো, সবাই আমায় চেনে
দেখতে চাও তো দিতে পারি সার্টিফিকেট এনে
ভাগ্য আমায় দেয় নি বটে করতে বি, এ, পাশ
তাই বলে কি সময় কাটাই কেটে ঘোড়ার ঘাস?
লোকে যে কয় বিদ্যে আমার কথামালাই শেষ
এর মধ্যে সত্যি কথা নেইকো বিন্দুলেশ।
ওদের পাড়ার লাইব্রেরীতে কেতাব আছে যতো?
কেউ পড়েছে তন্নতন্ন করে আমার মতো?
আমি অর্থাৎ শ্রীগােবিন্দ এমনি পড়ার যম
পড়াশুনাে নয়কো আমার কারুর চেয়ে কম।
কতকটা এই দেখেশিখে কতক পড়েশুনে
(আর) কতক হয়তো স্বাভাবিক প্রতিভারই গুণে
উন্নতিটা করছি যেমন আশ্চর্য তা ভারি
নিজের মুখে সব কথা তার বলতে কি আর পারি?
বলে গেছেন চণ্ডীপতি কিংবা অন্য কেউ
“আকাশ জুড়ে মেঘের বাসা সাগরভরা ঢেউ
জীবনটাও তেমনি ঠাসা কেবল বিনা কাজে
যেদিক নিয়ে খরচ করি সেই খরচই বাজে।”
আমি অর্থাৎ শ্রীগােবিন্দ চলতে ফিরতে শুতে
জীবনটাকে হাঁকাই নেকো মনের রথে জুতে।
হাইড্রোজেনের দুই বাবাজি অক্সিজেনের এক
নৃত্য করেন গলাগলি কাণ্ডখানা দেখ্‌
আহলাদেতে এক্‌সা হয়ে গলে হলেন জল
এই সুযোগে সুবােধ শিশু “শ্রীগোবিন্দ” বল্‌।