জ্বলন্ত জিরাফ

শেষ কবে নারীহত্যা করেছি আমার ব্যক্তিগত স্বর্গে? বাথরুমে- ছ’মাস আগে,
সেই থেকে চোখে ভালো দেখতে পাই না। সাতদিন পর্যন্ত আয়নায় হাসির
প্রমাণ লেগেছিল- এ ছাড়া চোখের জল জমিয়ে রেখেছিলাম বেসিনে। সেই
ঠান্ডা চোখের জলে রোজ মুখ ধুতাম ও কুলকুচোঁ করেছি জানালা দিয়ে।
প্রতিবেশী এসে বিরাট আপত্তি জানালোঃ এতদিন পেচ্ছাপ করা সহ্য করেছি, তা
বলে কি কুলকুচো করাও। তার ছোট বাড়ির রঙ শাদা ছিল।

পুলিশ এসে বলেছিলো, এই নিয়ে সাতটা খুনের জন্য তুমি মোট তেরোটা ছুরি
ভেঙেছো। ইস্পাতের এ-রকম অনটনের দিনে তোমার অমন বিলাসিতা। এর
পর থেকে তোমার ঐ খামখেয়ালরি জন্য যত খুশি সিল্কের রুমাল বা ধুতরোফল
ব্যবহার করতে। কিন্তুু ইস্পাতের অপচয়ের মতো বে-আইনি। দু’বছর অন্তত
ঘানি ঘোরাতে। -আমার ঘড়ি ছিল না বলে ক’টা বাজে দেখবার জন্য আমি
মণিবন্ধটা কানের কাছে। রক্ত চলাচলের স্পষ্ট শব্দ ও সময়।

টেলিফোন মিস্ত্রি অভিযোগ জানালো, আমার ঘরে রেডিও নেই কেন। সরমা
অনুযোগ করেছিল, আমার ঘরে কোনও ছবি নেই। আমি ওকে টেবিলের সম্পূর্ণ
খালি সতেরোটা ড্রয়ার দেখিয়েছিলাম। ও দূরের জ্বলন্ত জিরাফ একেবারে লক্ষ্য
করেনি। সেই পাপেই ওর মৃত্যু হলো। দাঁতের ডাক্তার আমার পায়ে ঘা করে
দিয়েছিলো বলে আমি কখনও আর সে শুয়োরের বাচ্চা জীবানু সমন্বয়ের সঙ্গে
সিনেমা দেখতে যাইনি। তার বদলে আমি এখন পেচ্ছাপ ও কান্নার সম্পর্ক নিয়ে
বই লিখছি। এখন রাত্রি কি দিন চেনা যায় না।