রক্তমাখা সিঁড়ি

চেয়েছি নতুন দিন,
স্নানসিক্ত পৃথিবীর নতুন মহিমা
মানুষের মতো বেঁচে থাকা যেন মানুষ্য জন্মেই ঘটে যায়
বঞ্চনা শব্দটি যেন
অচেনা ভাষার মতো মূঢ় করে
এ জীবন আনন্দের, চতুর্দিকে হাহাকার মুছে যে রকম স্নিগ্ধ সুখ!
কখনো আনন্দ হয় ফুল ছিঁড়ে,
অপরের অন্ন কেড়ে নয়
চেয়েছি নতুন দিন শ্রেণীহীন, স্পর্ধাহীন, বিশুদ্ধ সমাজ
যখন মুখোশে আর
লুকোবে না মানুষের মুখ
শস্য ও বাণিজ্যে সব লোভের করাল দাঁত ভাঙা
কুটিল ও ষড়যন্ত্রী শৃঙ্খলিত,
পৃথিবীর সব জননীর
বুকের শিশুরা রবে নিরাপদ;
একাকিত্বে বিংবা জনতায়
স্বপ্নের শব্দের মুক্তি-
ভালোবাসা মিশে যাবে দিগন্ত দেয়ালে
চেয়েছি নতুন দিন, গ্লানিহীন যৌবরাজ্য,
সৃষ্টিতে স্বাধীন!

চাইনি এমন গোর কালবেলা, অসহিষ্ণু অবিশ্বাস ঘৃণা
হৃৎপিণ্ডে অন্ধকার
কণ্ঠরুদ্ধ দিনরাত্রে এত হিংসা বিষ
প্রদীপ জ্বলার চেয়ে অগ্নিকাণ্ডে মুখ দেখাদেখি
চাইনি শ্মাশান-শান্তি,
চাইনি পিচ্ছিল গলি ঘুঁজি
সবাই পথিক তবু কে কোথায় যাবে তা ভুলে পথে মারামারি
চাইনি অস্ত্রের রোষ,
শত্রু ভুলে নেশাগ্রস্ত মারণ উল্লাস
বিবেকের ঘরে চুরি, স্বপ্নের নতুন দিন ধুলোয় বিলীন
চতুর্দিকে রক্ত, শুধু রক্ত,
আমারই বন্ধু ও ভাই ছিন্নভিন্ন
এতে কার জয়?
রক্তমাখা নোংরা এই সিঁড়ি দিয়ে আমি কোনো স্বর্গেও যাবো না!