অবতরণ

একটি রমণী শেষঅব্দি রমণীই থেকে যায়
প্রথমে সে ফুসে ওঠে, ভাঙে
দশ নখে খামচায় আরােপিত রীতির কলার।
তছনছ করে, ওলােট পালােট…
সমাজের জেব্রাক্রসিং না ছুঁয়েই হেঁটে চলে
ডানদিকে নয়, বামে নয়
পিছনে নয়, সে সামনে উদ্ধত হাঁটে।

রাস্তায় মানুষ সমস্বরে সিটি দেয়,
ফুটপাতে ভিড় বাড়ে, ছাদের রেলিংয়ে বুকে ভর রেখে
উবু হয়ে দেখে কেউ,
কোনও ক্লিষ্ট নারী বিস্ফারিত চোখে পর্দা সরিয়ে দাঁড়ায়;
আর দু’-একটা লকলকে জিভের কুকুর ঠিক পিছন পিছন চলে।

তখন সে ক্রুদ্ধ, ক্ষোভে প্রায়ােন্মত্ত
বিশ নখে আঁচড়ায় সামাজিক দোষত্রুটি,
সেই মেয়ে শেষঅব্দি রমণীই থেকে যায়
সেও আলনা গােছাতে চায়
সন্ধ্যার পায়েসে শখ করে দিতে চায় দু’-তিনটে লবঙ্গ এলাচ।

একদিন নিষেধের বরফে ডুবিয়ে তার সমস্ত আগুন
সেও পােষ মানে,
স্বর্ণকারের দোকান থেকে গােপনে গড়িয়ে আনে
দু’ভরি অনন্ত বালা।