শ্যামল পালক

একটি পালক তার খসে প’ড়েছিলাে
দখিনের হাওয়া লেগে ঘাসের উপর,
আহা সেই লাজুক শ্যামল পাখি।

ঝরা সে-পালক তার প’ড়ে র’লাে ঘাসে,
বিকেলের ভেজা রােদ অবাক দুচোখে
চমকে থমকে যেন দাঁড়ালাে খানিক,
আহা, সেই ঘাসে পড়ে থাকা শ্যামল পালক।

মাঠের বাতাস তার ছুঁয়ে গেল চুল,
শিহরিত দেহখানি লজ্জায় কেঁপে
থরো থরাে হলাে যেন প্রথম কুমারী
আহা সেই বিকেলের ভেজা রোদে শুয়ে থাকা কুমারী পালক!

কোন সেই তুষারের দেশ থেকে
ব’য়ে আনা উত্তাপ পালকের প্রতি রােমে রােমে,
আহা, কোন সেই কোন অচেনা দেশের ধুলাে
মাখা ওই পালকের নরােম শরীরে!

মনে হলাে একবার
তুলে এনে তারে রাখি বুকের নিকটে।
হয়তাে কখনাে একদিন কোনাে এক নারী,
কোনাে এক অচেনা নরােম হাত ছুঁয়েছিলাে তারে,
কোনাে এক আচেনা বাতাস তারে বেসেছিলাে ভালাে
হয়তাে কখনাে- কোনাে একদিন…

০৫.০১.৭৭ মিঠেখালি, মােংলা