রবিবারের দুপুর

পথ দিয়ে যায় যারা, মনে হয় তারা কত সুখী!-
জীবনের চিন্তাহীন তরঙ্গের যেন চঞ্চলতা;
দেহের আনন্দ ঝ’রে, ভঙ্গিটুকু হ’য়ে ওঠে কথা,
চোখে-চোখে বিচ্ছুরিত ইচ্ছার অজস্র অযথা-
এর পিছে নেই কোনো দুঃখের সূক্ষ্ম উঁকিঝুঁকি।

উজ্জ্বল আকাশ থেকে আশার প্লাবন যেন নামে।
ঘরে ব’সে কিছু দেখি, তার চেয়ে কিছু কম শুনি;-
গাছের ছায়ায় এসে দাঁড়িয়েছে তিনটি তরুণী,
রোদের পৌরুষে ঢেলে লাল নীল হলদে বেগুনি
মেয়েলি রঙের ছটা- হেসে-হেসে চ’লে গেলো ট্রামে।

দেখি ব’সে মৃদু হাসি পাশাপাশি প্রৌঢ় দম্পতীর;
যৌবনের গোলকুণ্ড বালিকার আঁচলে লুকোনো;
দোকানে, বন্ধুর বাড়ি, সিনেমায়, কিংবা অন্য-কোনো
ফুর্তির ফেনায় স্ফীত শহরের অসহিষ্ণু, ঘন,
বিচিত্র শিরায় চলে রবিবার দুপুরের ভিড়।

চেয়ে-চেয়ে দেখি, আর মনে ভাবি এরা কত সুখী।-
প্রমোদের পরে কিন্তু বাড়ি ফিরে কী হবে কে জানে।
কোনো ছোটো কথা থেকে উন্মথিত তর্কের তুফানে
হয়তো সুখের লেখা কেটে দেবে দুঃখের টানে-
কবিতার খশড়ায় হতাশার অন্ধ আঁকিবুকি।