পরাজয়

আগে ত জানিনি আমি
এমনি করিয়া কাঁদিয়া কাটিবে আমার দিবসযামী।
ফুল তুলেছিনু মালা গাথিবারে ফুল-শর চাহি নাই-
ধূপ জ্বলেছিনু গন্ধ শুঁকিতে, অগ্নিরে কেন পাই?
কেন ভুজঙ্গ-জ্বালা
চন্দন বলে’ কপালে লেপিতে কপাল হইল কালা!
কেন বারি মাগি তড়িৎ পাইনু, হায় পিপাসিত পাখি,
তোর তৃষ্ণার জলেতে আজিকে কে গেছে অনল রাখি!

কাঁটার পথেও চলিয়া দেখেছি কাঁটা লাগে নাই পায়,
ফুলের পথেতে চলিতে আজিকে আঘাত সহন দায়।
পাহাড় ভেঙেছি, কানন কেটেছি, বাজেরে লয়েছি শিরে,
ফুলের আঘাতে আজিকে সজনী হারানু পরাণটিরে।
আকাশ হইতে তারারে আনিয়া পরেছি তারার মালা,
পূর্ণ চাঁদের কলসী নাড়িয়া কুটির করেছি আলা।

দূর গ্রহপথে ভাসাইয়া দিয়া গানের আলোক-তরী,
কত ছায়া-পথে ছায়ারাণিদের লয়েছি বরণ করি।
কত ঝোড়োরাতে বাদলের সাথে মেঘেতে বাজায়ে ঢোল,
বিজলীর লতা আকাশে বাঁধিয়া খেলেছি আলোর দোল।
সেই আমি আজ তব ফুলবনে মানিলাম পরাজয়,
মাকড়ের আঁশে হাতিরে বাঁধিলে এই বড় বিস্ময়।