এই কথা রেখে যাই

এই কথা রেখে যাই হৃদয়ের কোনও এক সহোদর কবির নিকটে
এই শতাব্দীর শেষে তার পর এক দিন যার
জন্ম হবে- সে-দিনও এ-নিসর্গ ও মানুষের ভাষা
কাছে পেয়ে- তবুও সঙ্গতি যদি পায় সেই কবি
তা হলে সে অনুভব ক’রে নেবে আমাদের রোল
মৃত সমুদ্রের থেকে উঠে আসে- ভয়াবহ ক্ষিতিজ রেখার
পরপারে এক-দিন অগণন মানবীয় মুখ
প্রাণের বৃত্তান্ত থেকে খ’সে গিয়ে রূপ ধরেছিল
পূর্ণ মানুষের মতো তবু- সময়কে অনন্তের মতো
ব্যয় ক’রে- তবুও দেখেছে তারা বৎসর-সপ্তাহ-ঘণ্টা-দিন
শুষ্ক ব্যয়কুণ্ড- মুখ তাহাদের উৎসুক প্রয়াসে।
অবশেষে হেসে গেছে সমীচীন বয়স্যের মতো
মৃতোপম রাসভ ও মহাজন- মাঝপথে যখন দু’ জনে
জড়াজড়ি ক’রে মরে কুহুলিন নদীর বিবরে
অতীত সময় থেকে জেগে উঠে যুবা আরক্তিল
চিনেছিল এ-রকম প্যারাডিম; বিক্ষুব্ধ জীবন
প্রতিহত হয়ে গিয়ে আপনার অপরূপ প্রতিশ্রুতিময়
প্রাণময়তায় ঘুরে খুঁজেছিল ক্লান্ত বিবেকের
অবশিষ্ট সততাকে (আহা)- অথবা বিবেক তাকে আমি
কী ক’রে এখন বলি- আমাদের জীবনের কাজ
তোমাকে বিষণ্ন ক’রে দিয়ে- তবু- জানি-
অভিজ্ঞ করেছে আরও- আমাদের গানের ভিতরে
বসেছি মানবকুল অভিশপ্ত- তবুও মানুষ
নিজের কুলের থেকে জন্ম নিয়ে কূট- দুরারোহ- নিসর্গের
বন্ধুবল; মানুষ ও প্রকৃতির কাছে
প্রকৃতি ও মানুষের মোক্ষণীয় বিভ্রমের নাট্যে বৈজ্ঞানিক
মতো রক্তিল গর্ভাঙ্কের কিংবা প্রেমিকের-
বন্দি হয়ে অনুভব ক’রে গেছি আমি, হে কবি!