এইসব ভালো লাগে

(এই সব ভালো লাগে): জানালার ফাঁক দিয়ে ভোরের সোনালি রোদ এসে
আমারে ঘুমাতে দেখে বিছানায়,- আমার কাতর চোখ, আমার বিমর্ষ ম্লান চুল-
এই নিয়ে খেলা করে: জানে সে যে বহু দিন আগে আমি করেছি কি ভুল
পৃথিবীর সব চেয়ে ক্ষমাহীন গাঢ় এক রূপসীর মুখ ভালোবেসে,
পউষের শেষ রাতে আজও আমি দেখি চেয়ে আবার সে আমাদের দেশে
ফিরে এল; রঙ তার কেমন তা জানে অই টসটসে ভিজে জামরুল,
নরম জামের মতো চুল তার, ঘুঘুর বুকের মতো অস্ফুট আঙুল-
পউষের শেষ রাতে নিমপেঁচাটির সাথে আসে সে যে ভেসে

কবেকার মৃত কাক: পৃথিবীর পথে আজ নাই সে তো আর;
তবুও সে ম্লান জানালার পাশে উড়ে আসে নীরব সোহাগে,
মলিন পাখনা তার খড়ের চালের হিম শিশিরে মাখায়;
তখন এ পৃথিবীতে কোনও পাখি জেগে এসে বসে নি শাখায়;
পৃথিবীও নাই আর; দাঁড়কাক একা-একা সারারাত জাগে-
‘কী বা হায়, আসে যায়’, বলি আমি, ‘তারে যদি কোনও দিন না পাই আবার।’
(নিমপেঁচা তবু হাঁকে: ‘পাবে না ক’ কোনও দিন,
পাবে না ক’ কোনও দিন, পাবে না ক’ কোনও দিন আর।’)