যেন তা কল্যাণ সত্য চায়

যেন তা কল্যাণ সত্য চায়, তবু অবাধ হিংসার
রিরংসা-পাকে ঘুরে-ঘুরে-ঘুরে শূন্য হয়ে যায়-
অন্ধকার থেকে মৃদু আলোর ভেতরে
আলোর ভেতর থেকে আঁধারের দিকে
জ্ঞানের ভেতর থেকে শোকাবহ আশ্চর্য অজ্ঞানে
বারবার আসা-যাওয়া শেষ ক’রে ফেলে।
এক দিন আরও জ্ঞানী হয়ে তবু ক্লান্ত হয়ে রবে।
ব্যবসা-বাণিজ্য যুদ্ধে বারবার বিজ্ঞান বিষম
হলে তা বিশুদ্ধ জ্ঞান ভয়াবহ ব্রহ্মাণ্ডের;
সময়ের আবর্তনে নিমিত্তের ভাগী বুঝি প্রেম।

সনাতন সময়ের উন্মোচনে তবু
হৃদয়ে এসেছে প্রেম বারবার;

চির-কাল ইতিহাসবহনের পথে
রক্ত ক্ষয় নাশ ক’রে যে এক বলয়ে
মানুষের দিকচিহ্ন মাঝে-মাঝে মুক্ত হয়ে পড়ে
অচিহ্নিত সাগরের মতন তা, দূরতর আকাশের মতো;
কোনও প্রশান্তি নয়, মৃত্যু নয়, অপ্রেমের মতো নয়,
কোনও হেঁয়ালির মীমাংসার গল্প নয়,
শুধু আরও শুদ্ধ- আরও গাঢ় অনির্বচনীয় সম্মেলন
(হৃদয়ের ভূগোলের মহাদেশ আবিষ্কৃত হবে।)
সব পেছনের পার্শ্বের লীন লীয়মান
অন্তর্হিত হয়ে গেলে কূলহীন পটভূমি জেগে ওঠে।