কল্যাণী বধূ

মৃত শিশুর জন্ম দেয় সে
একটির-পর-একটি- একটির-পর-একটি
মৃতবৎসার বয়স ত্রিশের কোঠায় পড়ল গিয়ে
তার পর কে যেন তাকে বললে:
দোষ তার নয়- তার স্বামীর
যেন নতুন কথা!
যেন এর আগে জানত না সে
বিবাহের পর নিজের রক্তের ভিতর সেই বিষম রোগের জ্বালা টের পেয়েছে সে
প্রতিটি বিষনীল শিশুর মুখের দিকে তাকিয়ে আত্মার বিষম ক্ষুধা
কিন্তু তবুও দুর্ভিক্ষের রাতে- রাতের-পর-রাতে- খেত বানিয়েছে নিজের শরীরকে
ফরসেপ দিয়ে প্রতিটি মৃত শিশুকে বার ক’রে আনতে সজ্ঞান অনুমতি দিয়েছে
এই কল্যাণী বধূ।

আমাকে বরং এক জন প্রচুর নারী দাও
যে তার স্বামীর এই বিষাক্ত রোগের সমুচিত ব্যবহার করতে জানত
কল্যাণী বধূদের কী সুসম্পূর্ণ কল্যাণী অশ্রু, ঘোমটা ও সিঁদুর।