খ্রীস্টীয় কবর

লম্বা হয়ে প’ড়ে আছে খৃস্টীয় কবর
দেহাতিদের উখা গোরস্থান
এই শহরের এক কিনারে
নতুন সূর্যে ম্লান

প্রত্যহ ভোর- নীরবতায়
খানিক দূরে তিতু’র আস্তাবল
অ্যামোনিয়া, বুটের গন্ধ আসে
রাত্রি-দিনের বয়রা ঘোড়া’র মল

ক্লান্ত- পরাজিতের মতো জ’মে
একটি- দু’টি- অনেক ঝাউয়ের নিচে
কেমন যেন মিহিন আতর ঢালে
এই পৃথিবীর সকল প্রয়াস মিছে

জলের কলের পাইপ সারাতে এসে
রাস্তা মেরামতের কাজে লেগে
যায়- চ’লে যায় কামিন-মজুরগুলো
যায়- মিশে যায় ধুলো-বালির মেঘে

তবুও অনেক খৃস্টীয় ক্রুশ সেগুন-কাঠামোর
কিংবা আরও নিকষ কাঠের- পলিয়া পাথরের
আমার- তোমার চোখের দিকে চেয়ে
বুকের কথা নিক্তি ওজনের

টের পেয়ে যায় ভোরের বেলায়
সাত শহরের ঢং-ঢিঙানির সাথে
রাত-বিরেতে ঘড়ির কাঁটা গেলে
ঠান্ডা হাওয়া লাগে উটের দাঁতে

এই পৃথিবীর ন্যূব্জ উটের দাঁতে
অনেক কথা ভেবেছিল বোঝার সাথে ঘুরে
যে-সব কথার বুনোট থেকে পোড়েন খুলে ফেলে
টানা নিয়ে গোরস্থানের ক্রুশ’রা গেল দূরে

নক্ষত্রকে দেয় না তুলে কিছু
নদীর জলে দেয় না ফেলে কিছু
মহৎ অমেয়তায় থেমে চার-দেয়ালের পারে
গৃহস্বামীর কুকুর যেন- আগন্তুকের পিছু

ভেসে বেড়ায় দুপুর-রাতে একা
কে তবে সেই আগন্তুকের মাথা
হয়তো-বা চাঁদ- প্রণয়ী- চোর- পুলিশ- গ্যাসোলিন-
গাবিন বিড়াল- নব-নবীন সামন্তদের ভাতা।